চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পিরোজখালী গ্রামে বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। এ সময় বাল্যবিয়েতে অংশ নেওয়া এবং বিয়ে পড়ানোর অপরাধে বর ও কাজিকে ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২১ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত বর রকি আলী (২৩) সদর উপজেলার পিরোজখালী গ্রামের আইনাল হকের ছেলে ও কাজী জাহিদুল ইসলাম (৪২) একই গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পিরোজখালী গ্রামে গভীর রাতে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। এ সময় বাল্য বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দেন তিনি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বর রকি আলীকে এক মাস ও কাজী জাহিদুল ইসলামকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের রাতেই জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এক কিশোরীর সঙ্গে পিরোজখালী গ্রামে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিয়ের সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেসঙ্গে বর ও কাজীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ৭ ধারায় তাদের দণ্ডিত করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সহযোগিতা করেন পেশকার সোবহান আলী, আরমান আলী এবং সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নীতিশ কুমার।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২১
এমআরএ