ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রিকশাচালক বেশে আত্মগোপনে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
রিকশাচালক বেশে আত্মগোপনে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্য

ঢাকা: ২০১৫ সালে রংপুরের কাউনিয়ায় খাদেম রহমত আলী হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্য আবদুর রহমান ওরফে চান্দু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

সোমবার (২৪ মে) সাভারের গেন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা আবদুর রহমান নিজের নাম-পরিচয় বদলে রিকশা চালানোসহ বিভিন্ন পেশায় আত্মগোপনে ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৫ মে) রাজধানীর বারিধারায় এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান এটিইউ'র পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান।

তিনি বলেন, আবদুর রহমানের বাড়ি রংপুরে আর শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লায়। তিনি কুমিল্লাসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে অবস্থান করেন। এ সময়ে রিকশা চালিয়ে ও অন্যান্য ছোটকাট কাজ করে জীবিকানির্বাহ করতেন। তিনি নিজে খাদেমকে কুপিয়েছিলেন, সে সময় তিনি একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন।

আবদুর রহমান জেএমবির সক্রিয় সদস্য হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, খাদেম সুরেশ্বরী তরিকা পালন করতেন। তার বাড়ির পাশে তার বাবা-মার কবরকে মাজার ঘোষণা করেন তিনি। তিনি মাজার ও মসজিদ সংলগ্ন একটি দরবার শরীফ ঘর তৈরি করে প্রতি বৃহস্পতিবার সুরেশ্বরী তরিকত মোতাবেক অনুসারীদের নিয়ে জিকির করতেন। খাদেমের এসব কর্মকাণ্ড জেএমবি সদস্যদের নজরে আসে। তাদের দাবি, খাদেম একজন ‘ভণ্ড পীর’, শিরককারী এবং দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার অলক্ষ্যে তাকে হত্যা করা আবশ্যক। তাই খাদেমকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, খাদেম রহমত আলীর কাউনিয়ায় একটি ওষুধের দোকান ছিল। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাজার থেকে বাসায় ফেরার পথে জেএমবি সদস্যরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত খাদেমের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জেএমবি সদস্যদের জড়িত থাকার কথা জানায়।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন অর রশীদ জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ ১৪ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৮ সালে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার ওই মামলায় সাত জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২১
পিএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।