গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা এলাকায় শরীরে কেরোসিন ঢেলে উম্মে হুমায়রা বিজলী (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিজলীর মা হেলেনা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ মে) তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। উম্মে হুমায়রা বিজলী বরিশালের মুলাদী থানার বাহাদুরপুর এলাকার মো. বজলুর রহমানের মেয়ে। বিজলী গাজীপুর পুলিশ লাইন্স স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মিজানুর রহমান জানান, গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে বাসা ভাড়া থাকে বজলুর রহমান। তিনি নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে গত ২১ মে রাতে বিজলীকে শাসন করে তার মা মোসা. হেলেনা বেগম। একপর্যায়ে বিজলীর গায়ে কোরোসিন ঢেলে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। বিজলীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে এসে আগুন নেভায়। আগুনে বিজলীর শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৬ মে) দুপুরে বিজলী মারা যায়। এঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রীর মা হেলেনার বিরুদ্ধে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী বজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে অভিযুক্ত মোসা. হেলেনা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২১
আরএস/ওএইচ/