ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৈশ্বিক শান্তি সূচকে সাত ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
বৈশ্বিক শান্তি সূচকে সাত ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যেও শান্তি বেড়েছে বাংলাদেশে। ২০২১ সালের বৈশ্বিক শান্তি সূচকে বাংলাদেশের সাত ধাপ অগ্রগতি হয়েছে।

 
অস্ট্রেলীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস প্রকাশিত এ বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ২.০৬৮ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বে শান্তিতে ৯১তম স্থানে উঠে এসেছে। গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৭তম।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রকাশ করা এ বছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে শান্তির দেশ আইসল্যান্ড। এরপর যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ডেনমার্ক, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের অবস্থান। এশিয়ার মধ্যে শান্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুর আছে বৈশ্বিক তালিকায় ১১তম স্থানে। ১২তম স্থানে আছে জাপান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এই অঞ্চলে সবচেয়ে শান্তির দেশ ভুটান, ২২তম। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা নেপাল আছে ৮৫তম স্থানে। শ্রীলঙ্কা ৯৫তম, ভারত ১৩৫তম ও আফগানিস্তান ১৬৩তম স্থানে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বের মাত্র যে তিনটি অঞ্চলে শান্তিতে অগ্রগতি হয়েছে সেগুলোর একটি দক্ষিণ এশিয়া। নিজ অবস্থান থেকে আগের বছরের তুলনায় উন্নতি হলেও এই অঞ্চল এখনো বিশ্বের সবচেয়ে কম শান্তিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। এই অঞ্চলের সাতটি দেশের মধ্যে পাঁচটির শান্তিতে অগ্রগতি হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষভাবে অগ্রগতি হয়েছে সামরিকায়ন এবং নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ইস্যুতে। তবে এই অঞ্চলের দেশগুলোর একটির পরিস্থিতি অন্যটির চেয়ে বেশ আলাদা। যেমন ভুটান শান্তিতে শীর্ষ ২৫ দেশের তালিকায় আছে। অন্যদিকে আফগানিস্তান আছে সর্বশেষ স্থানে।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা আফগানিস্তানও আগের বছরের চেয়ে শান্তিতে উন্নতি করেছে। অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সন্ত্রাসে মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে। গত কয়েক বছরে হত্যাও কমেছে আফগানিস্তানে। এর পরও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের প্রভাব বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তার সব সেনা আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে তা অনিশ্চিত।

ভুটান বিশ্বে সবচেয়ে কম সামরিকায়ন হওয়া দেশগুলোর অন্যতম। শান্তিতে এই অঞ্চলে সবচেয়ে অগ্রগতি হয়েছে পাকিস্তানের। তবে ভবিষ্যতে ওই দেশটিতে বেসামরিক অসন্তোষের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।

দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা সম্পর্কিত ভাবনাও ভিন্নরকম। জনগণের এক-তৃতীয়াংশই নিজেদের অনেক নিরাপদ ভাবে। আরো এক-তৃতীয়াংশ নিজেদের অনেক নিরাপদ না ভাবলেও তুলনামূলক নিরাপদ ভাবে। অবশিষ্ট এক-তৃতীয়াংশ নিজেদের কম নিরাপদ ভাবে। ২০১৯ সালে নেপালের ৪৪ শতাংশ মানুষ নিজেদের বেশ নিরাপদ মনে করত। অন্যদিকে আফগানিস্তানের ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে কম নিরাপদবোধ করার কথা বলেছেন। আফগানিস্তানে গত পাঁচ বছরে সংঘাত ও সহিংসতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশে উচ্চমাত্রার সহিংসতা থাকলেও পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তার বড় ধরনের ঝুঁকি কম। এ অঞ্চলে লোকজন সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত হয় বেশি। সহিংসতার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি আফগানিস্তানে, ৫২ শতাংশ। বাংলাদেশের ২৫ ও ভারতের ২৩ শতাংশ মানুষ সহিংস অপরাধের আশঙ্কা করে। এই হার এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।