ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্রকে বলাৎকার করে দোষ দিলেন শয়তানকে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
ছাত্রকে বলাৎকার করে দোষ দিলেন শয়তানকে  আটক শিক্ষক শাহাদাত হোসেন

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার করে শয়তানের ওপর দোষ চাপালেন শিক্ষক। ছাত্রের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক হওয়া শিক্ষক শাহাদাত হোসেন পুলিশকে বলেন, ‘আমি বিবাহিত।

আমার একটি কন্যা সন্তানও আছে। শয়তানের ধোকায় পড়ে আমি ওই ছাত্রের সঙ্গে ভুল করেছি’।

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে পুলিশের কাছে দায় স্বীকার করেন তিনি।  

শাহাদাত উপজেলার তাহযীবুল উম্মাহ ইসলামিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও রামগঞ্জ পৌরশহরের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে।  

ঘটনার সত্যত্য নিশ্চিত করেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল, তিনি জানান, শনিবার সকালে ছেলেকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে এক ছাত্রের বাবা শিক্ষক শাহাদাতের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ হেফাজতে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

নির্যাতনের শিকার ছাত্রের মা জানায়, জানুয়ারি মাসে মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় ওই ছাত্র। গত এক মাস ধরে মধ্যরাতে মাঝে মাঝে ওই ছাত্রকে মাথা ও শরীর মালিশ করার কথা বলে শাহাদাত তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যেতেন। এ সময় তাকে যৌন হয়রানি করতেন ওই শিক্ষক। এসব ঘটনা কাউকে না বলতে ছাত্রকে শপথও করান তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে ওই ছাত্রকে মাদরাসার তিন তলার কক্ষে নিয়ে আবারও যৌন নিপীড়ন করে করেন। বৃহস্পতিবার ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে সে তার মাকে সব জানায়।

এ ঘটনার বিচার দাবি করে শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রের মা মাদরাসার পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ দেন। এতে তাৎক্ষণিক মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করেন এবং ছাত্রের মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, ছাত্রের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
এসএইচডি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।