ঢাকা: দেশে খাদ্যের মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে শিগগিরই আরও পাঁচটি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার৷
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) ঢাকায় খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এসব সাইলোতে কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বেশি করা যায় সে লক্ষ্যে স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে। এছাড়া আরও পাঁচটি আধুনিক স্টিল সাইলো শিগগির নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন স্টিল সাইলো নির্মাণ করতে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ ও জিএসআই ইউএসআই জেভির চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির শর্তানুসারে তারা বরিশালে স্ট্রিল সাইলো নির্মাণ করবে। ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার এ সাইলো খাদ্যের মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও পুষ্টিমান বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র বলেন, অনেকেই মনে করেন সরকারের খাদ্যের মজুদ কমে গেছে। তাদের ধারণা সঠিক নয়। খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। খাদ্য মজুদের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকেও আধুনিক ও সময়োপয়োগী করা হচ্ছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন বলেন, আঞ্চলিক খাদ্য কার্যালয়, জেলা কর্যালয়, উপজেলা কর্যালয়সহ খাদ্যগুদামগুলো অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় এলে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ-ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে ২০০টি ধানের সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেওয়া সম্ভব হবে। স্টিল সাইলোতে পরে সে ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নতমানের চাল পাওয়া সম্ভব হবে।
কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হবে না উল্লেখ করে চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি সময় মতো কোয়ালিটি কাজ নিশ্চিত করা এবং প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রী।
পরে খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড এর চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো কম্পিউটার্স খাদ্য অধিদপ্তরের ৬৪ জেলায় ১২ শত সাইটে অনলাইন কানেক্টিভিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং সম্ভব হবে এবং একই সঙ্গে অধিদপ্তরের ৩৫ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটিতে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
অনুষ্ঠানে মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাডভাইজর সামিরা জুবেরী হিমিকা ও কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
জিসিজি/এমইউএম/আরআইএস