মেহেরপুর: এক লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হোসেনকে (১২) অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণকারীদের দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা দিতে চাইলেও সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি মা।
শনিবার (২৬ জুন) মধ্যরাতে স্থানীয় একটি পাটক্ষেতে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতিকারীরা।
আবির হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শস্যাডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আসাদুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে আসাদুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা খাতুন তার বাবা রেজাউল হকের বাড়ি গাংনী উপজেলার মিনাপাড়াতে থাকেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ষোলটাকা ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) নুহু নবীর ছেলে স্কুলছাত্র হামিম হোসেন (১৫) ও মিরাজ হোসেনের ছেলে মুজাহিদকে (১৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত আবির হোসেনের স্ত্রী রোজিনা খাতুন জানান, গতকাল শনিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে আবিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে আবিরের ফোন থেকেই কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। আমরা মুক্তিপণ দিয়েই ছেলেকে পেতে চেয়েছিলাম। শেষে তারা মুক্তিপণ না নিয়েই তাকে হত্যা করলো।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবির হোসেনের মরদেহ মিনাপাড়া গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তারা দুজনেই স্কুলছাত্র। হামিম হোসেন অষ্টম শ্রেণির ও মুজাহিদ দশম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে। নিহতের মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২১
আরএ