ঢাকা: করোনায় অসহায় মানুষের মধ্যে সাহায্য বিতরণে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। রাজনীতিবিধ ও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্ধারিত স্থানে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ এ আপত্তি জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, এ জাতীয় সংসদে এমন কোনো সদস্য নেই যিনি নিজের দায়িত্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই সহযোগিতা দিয়েছি। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা দেই কিন্তু মানুষ মনে করে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দেয়। অনেক জেলায় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যায়নি। এতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যে কাজ সেটা ম্লান হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও থাকবে কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে। রাজনীতিবিধ ও নির্বাচিত প্রতিনিধি তাদের জন্য যে নির্ধারিত স্থান রয়েছে তাদের সেখানে থাকা উচিত। আমাদের জেলায় একজন সচিব যাবেন এটা ভালো, আমরা তাদের বরণ করে নেব। কিন্তু তারা যায়নি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বলা হয়েছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ ও মধ্য আয়ের দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। আমরা তো মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। শুধু মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হইনি উন্নয়নশীল দেশেও উন্নীত হতে যাচ্ছি। করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটা শুধু দেশে না বিদেশেও সমাদৃত হয়েছে।
এ সময় তোফায়েল আহমেদ তার একটি কষ্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, একজন সাংবাদিক আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন আপনার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের বিষয় কী। আমি তাকে বলেছিলোম, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আমাকে গ্রেফতার করা হয়। কাশিমপুর থেকে আমাকে কুষ্টিয়া নেওয়া হচ্ছিল। ফেরিতে দেখলাম একটি গাড়িতে পতাকা। জিজ্ঞাসা করলাম কার গাড়ি। বললো মন্ত্রী নিজামী যাচ্ছে। তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা আর আর আমার হাতে হাত কড়া। এটাই আমার বড় দুঃখ। আজ এখানে বক্তব্য দিচ্ছি, আবার সুযোগ পাব কিনা জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২১
এসকে/আরবি