লালমনিরহাট: কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি কিছুটা বেড়েছে। ফলে ভাঙনের মুখে পড়েছে লালমনিরহাটের সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ ও শতশত বসত বাড়ি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) চেয়ে ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। সামান্য পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা নদীর বাম তীরের সলেডি স্প্যার বাঁধ ২ এবং শতশত বসত বাড়ি ভাঙনের মুখে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে কয়েক দিন ধরে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। জন্মলগ্ন থেকে খনন না করায় পলি ও বালু জমে তিস্তা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। ফলে সামান্য পানি বাড়লে তিস্তা নদীর দুই কূল উপচিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বেশকিছু পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সলেডি স্প্যার-২ এর উজানে চৌরাহা মাদরাসা এলাকায় ৬টি বসতভিটা ও কয়েক একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে শতশত বসতবাড়ি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এছাড়া সদর উপজেলার চর গোকুন্ডায় ভাঙন শুরু হয়েছে। পূর্বপাড়া গ্রামে গত দুই দিনে ২-৩টি বাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সলেডি স্প্যার-২ এ গতবছরের ক্ষতস্থানটি রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তিস্তা ব্যারাজের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকালের দিকে কিছুটা বাড়লেও দুপুরের পরে কমতে শুরু করে। তবে রাত পর্যন্ত পানি বাড়ার সম্ভবনা কম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২১
এনটি