ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেজান জুসের কারখানার আগুন, নিহত ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২১
নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেজান জুসের কারখানার আগুন, নিহত ৩

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুসের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এতে তিনজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও রাত সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিহতরা হলেন- সিলেট জেলার জ্যোতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৪৫), দিনাজপুরের চিনিরবন্দর উপজেলার আনিসুর রহমানের ছেলে মোরসালিন (২৮) ও উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)। আহতদের স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

তবে এখনো ভেতরে শতাধিক শ্রমিক আটকে আছেন বলে জানান শ্রমিকরা। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাততলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচতলার একটি ফ্লোরের কাটুন থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কালো ধোঁয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই স্বপ্না ও মিনা নামে দুই নারী নিহত হন।

পরে মোরসালিন লাফ দিয়ে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুই জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউএস বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন এবং মোরসালিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। এছাড়া গুরুতর আহত বাকিদের অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী নিহত স্বপ্না রানীর মেয়ে শ্রমিক বিশাখা রানী বলেন, অনেক শ্রমিক কারখানার ভেতরে আটকা রয়েছেন। তাদের বের করা না হলে সবাই মারা যাবেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল আল আরিফিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন>>>

**রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় আগুন, নিহত ২

**সেজান জুসের কারখানায় আগুন: কয়েকজন ঢামেকে ভর্তি

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।