নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এতে তিনজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেলেও এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এদিকে নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজ করতে এসে ভিড় করা স্বজনদের সরাতে পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। দু’পক্ষের সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ইতোমধ্যে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে, এদিকে স্বজনরাও ইট পাটকেল ছুড়ে মেরেছেন। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সংঘর্ষের সময় কারখানার আনসার ক্যাম্প থেকে আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটের অভিযোগ করেছেন তারা। যদিও এ ব্যাপারে কেউ সরাসরি বক্তব্য দিতে চাননি তবে তারা আশেপাশের ডোবা ও বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের খোঁজে পুলিশের সহযোগিতায় তল্লাশি করছেন।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সাড়ে ১০টায় শুরু হয় সংঘর্ষ। এদিকে পুলিশের দাবি, একটি চক্র লুটপাট চালাতে স্বজনদের বেশে এখানে হামলা করে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম না প্রকাশ করে একজন আনসার জানান, আমাদের ক্যাম্প থেকে ৩টি শর্টগান লুট হয়। পরে পাশের পুকুর থেকে দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আরেকটির খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বাংলানিউজকে জানান, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। ভিড় সামাল দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নিখোঁজদের স্বজনদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
শ্রমিকরা জানান, চতুর্থ তলার প্রায় ৭০-৮০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
>>>নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেজান জুসের কারখানার আগুন, নিহত ৩
>>সেজান জুসের কারখানায় আগুন: কয়েকজন ঢামেকে ভর্তি
>>>রূপগঞ্জে সেজান জুসের কারখানায় আগুন, নিহত ২
>>>১৫ ঘণ্টাও নেভেনি আগুন, ফায়ার সার্ভিসের ক্লান্তিহীন চেষ্টা
>>>জুস কারখানায় অতিরিক্ত দাহ্য পদার্থ থাকায় নিয়ন্ত্রণে আসছে না আগুন
>>>জীবিত নেই কেউ, প্রিয়জনের খবর পেতে স্বজনদের অপেক্ষা
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২১
এনটি