ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জুস কারখানায় আগুন: গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২১
জুস কারখানায় আগুন: গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা

ঢাকা: রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারাখানার শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে মালিক কিংবা পরিদর্শন ব্যবস্থায় কারো গাফিলতি থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।  

শুক্রবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া আগেই শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শককে (সেফটি)প্রধান করে সেফটির বিষয়টি দেখার জন্য আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করবো। এই কারখানায় কোনো শিশুশ্রম ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী এসময় অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর প্রত্যেকের পরিবারকে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্টেডশন তহবিল থেকে ২ লাখ এবং চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদের শনিবারই ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান।

প্রতিমন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে রূপগঞ্জ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শ্রমিকদের দেখতে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

এসময় শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখান ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচাক গৌতম কুমারসহ শ্রম মন্ত্রণালয় এবং দু’টি অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে গত রাত থেকেই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে কাজ করছে। নিহত শ্রমিকদের মরদেহ নেওয়া এবং আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য শ্রম অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স নিয়োজিত আছে।  
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে ৪৯টি দগ্ধ মরদেহ বের করে আনা হয়। মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর আগে, এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।  এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন।

***শিশু মনে হলেই তো হবে না, প্রমাণ দিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা,জুলাই ০৯,২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।