বগুড়া: বগুড়ায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় রাষ্ট্রচিন্তার দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়াকে (৩৯) আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত-ওসি) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে জানান, আটক দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আটক দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ঢাকা জেলার উত্তর বাড্ডা এলাকার শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা যায়, দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বগুড়া সদর উপজেলার সেউজগাড়ী এলাকার বাসিন্দা ও অভিযোগকারী ভুক্তভোগী এক (৩১) নারীকে বিবাহ করেন। এরপর থেকে তারা সুখেই সংসার করছিলেন। দিদার প্রতি সপ্তাহে ওই নারীর বাড়িতে যেতেন ও তাকে সময় দিতেন। সংসার চলাকালীন সময় দিদার ওই নারীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সময় প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা নেন। কিন্তু আস্তে আস্তে তার চাহিদা বাড়তে থাকে এবং একটা সময় ওই নারীর কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন দিদার। টাকা দিতে অস্বীকার করায় দিদার তাকে মারধর করেন ও বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে থাকেন।
জানতে চাইলে ওই নারী বাংলানিউজকে বলেন, দিদার একজন যৌতুকলোভী নারী নির্যাতনকারী। তিনি আমাকে ধংস করে দিয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে এতটা নোংরা অন্যায় করেছে যে, একজন নারী হয়ে সেটা বলা সম্ভব না। আমি একজন নারী হিসেবে তার কঠিন বিচার চাই।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বাংলানিউজকে জানান, জাতিসংঘের অধীনস্থ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত এক নারী কর্মকর্তার বগুড়া সদর থানায় দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় দিদারুলকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী দিদারুলের কাছে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ওই নারী আইনের শরণাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করলে দিদারুল দীর্ঘদিন পালাতক ছিলেন। পালাতক অবস্থায় তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ওই নারীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে হয়রানি করে আসছিলেন। একপর্যায়ে শনিবার (১৭ জুলাই) রাতে ঢাকার উত্তর বাড্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
কেইউএ/আরআইএস