ঢাকা: ঈদের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। নাড়ীর টানে রাজধানী ছাড়ছেন নগরবাসী।
তবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন মহাসড়কে যানজটের কারণে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ঘরমুখী মানুষ বৃষ্টি উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে জমায়েত হতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই জমায়েত বাড়তে থাকে। নির্ধারিত সময়ে গাড়ি না পেয়ে ভোগান্তে পড়েছে অনেকে। অনলাইনে টিকিট কাটার পরও এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে ভাবিনি বলে জানালেন খুলনার যাত্রী সুমাইয়া ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, তিন দিন আগে অনলাইনে টিকিট কিনেছি। সকাল সাড়ে ৮টায় গাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন বেলা সাড়ে ১১টায়ও গাড়ির দেখা মেলেনি। ছোট সন্তান নিয়ে অনেকটা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছি বলে তিনি জানান।
সকাল ৯টার গাড়ি ছিল কাউন্টারে আসি সাড়ে আটটায়। দুপুর ১২টায় কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে গাড়ি বিকেল ৪টার দিকে আসবে বলে জানালেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র জসিম উদ্দিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাবো। সকাল থেকে প্রহর গুনছি। জানি না এই ভোগান্তি কখন শেষ হবে। কখন বাড়ি গিয়ে মায়ের মুখ দেখবো।
এদিকে, সোহাগ পরিবহনের এক কর্মকর্তা বলেন, রাস্তায় যানজট থাকলে আমাদের কি করার আছে। গাড়ি এলে আমরা যাত্রী তুলে দিচ্ছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
অপরদিকে, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হলেও এটা অনেকটাই উপেক্ষিত ছিল। মুখে মাস্ক দেখা গেলেও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হয়নি টার্মিনালে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে তারা যাত্রী গাড়িতে তুলছেন।
এ ব্যাপারে সুবর্ণ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. জাকির বলেন, স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করেই গাড়ি যাচ্ছে। তবে লোকাল গাড়িগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধি নেই। এক সিটে দু’জন করে বসিয়ে এবং দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এখানে দেখার কেউ নেই বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২১
এসএমএকে/আরআইএস