ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে নানা অজুহাতে রাজধানীতে ফিরছেন অনেকে মানুষ। রাজধানীর প্রবেশপথে প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করছেন।
সোমবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর প্রবেশদ্বার গাবতলীতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
দেখা গেছে, বেশির ভাগ যাত্রী অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল, রিকশায় এবং কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই আমিনবাজার ব্রিজ দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছেন। যাত্রীদের অধিকাংশ বলেছেন নানা সমস্যায় তারা ফিরছেন ঢাকায়। তবে কারও কারও অজুহাত ধরা পরে যাওয়া পুলিশের পক্ষ থেকে ফেরতও পাঠানো হচ্ছে।
মানিকগঞ্জ থেকে এসেছেন সামসুল ইসলাম বোনের বাসা জুরাইনে যাবেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি বোনের বাসায় থেকে টিউশনি করি। ঈদের পর ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু হয়ে যাবে। তাই ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও ফিরতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মানিকগঞ্জ থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত আসতে খুব একটা কষ্ট হয়নি। তবে আমিনবাজারের পর থেকে গাবতলী পর্যন্ত হেঁটে আসতে হয়েছে। বাকি পথ রিকশায় চলে যাবো।
আমি থাকি শ্যামলীতে, সাভারে বোনের বাসায় বাবার চিকিৎসার কাগজ আনতে গিয়েছিলাম বলে জানালেন সাব্বির আহমেদ।
তিনি বলেন, গতকাল বোনের বাসায় গিয়েছিলাম আজ চলে আসলাম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে বাবার চিকিৎসার কাগজ দেখালে ছেড়ে দেয়।
শুধু তাই নয় একজনকে রোগী সাজিয়ে মাইক্রোবাসভর্তি মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। প্রশাসন থেকে গাড়ি আটকানো হলেও রোগীর আত্মীয় বলে তারা ঢাকায় আসছেন। বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে এভাবে অনেকে ঢাকায় ফিরছেন। তবে প্রয়োজন ছাড়া অজুহাত দেখিয়ে কেউ ঢাকায় প্রবেশ করতে চাইলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানালেন দারুসসালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যারা অতি প্রয়োজন নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন তাদের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। অজুহাত দেখিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। যারা অজুহাত দেখাচ্ছেন আমরা বুঝতে পারলে তাদের ফেরত পাঠাচ্ছি। আমরা জনগণকে সচেতন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
এসএমএকে/এএটি