ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঠিকানাহীন লোকটির বৃদ্ধাশ্রম হলো ঠিকানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২১
ঠিকানাহীন লোকটির বৃদ্ধাশ্রম হলো ঠিকানা

খাগড়াছড়ি: যাযাবর জীবন। মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও মানুষের ভাষা বোঝে।

সব সময় চুপচাপ থাকা পঞ্চাশোর্ধ মানুষটি অনেকের মন জয় করেছেন। একেক সময় একেক নাম বললেও শেষ পর্যন্ত নিজের নাম বাদশা বলে দাবি তার। আর পরিবারহীন বাদশার শেষ ঠিকানা হলো ঢাকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে।

খাগড়াছড়ির কয়েকজন তরুণের উদ্যোগে তার ঠাইঁ হলো ঢাকার মিরপুুরে অবস্থিত চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড কেয়ার নামক একটি বৃদ্ধাশ্রমে।

জানা যায়, গত ৩০ মে সড়ক দুর্ঘটনায় বাম পায়ের গোড়ালির ওপরের হাড় ভেঙে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে অপারেশন করে সুস্থ করে তোলেন। এছাড়াও তার আরো কিছু রোগ ধরা পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি স্থানীয় যুবক মো. সাহাব উদ্দিন মমতায় লোকটি সুস্থ করে তোলেন। পরবর্তীতে তার উদ্যোগে বাদশাকে ঢাকার একটি বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়।

মো. সাহাব উদ্দিন জানান, অসুস্থ হওয়ার পর থেকে যতটুকু সম্ভব তার পাশে থেকেছি। এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ বলা যায়। ঢাকার চাইল্ড ও ওল্ড কেয়ার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাটা মিল্টন সমাদ্দারকে বিস্তারিত বললে তিনি সব দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানান এবং দ্রুত পাঠাতে বলেন। পথেঘাটে ঘুরার চেয়ে বৃদ্ধাশ্রমে তিনি শান্তিতে থাকতে পারবেন। তাই সেখানে দিয়ে এসেছি।

এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হলে অনেকে অর্থ সহায়তা দিয়ে পাশে থাকার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এদিকে এমন কাজ করায় উদ্যোক্তারা প্রশংসা কুড়িয়েছেন সবার।

অপর উদ্যোক্তা জনি দত্ত জানায়, মানুষ হয়ে অন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো ভালো কাজ আর কিছুই হতে পারে না। আমাদের কিছুটা সামর্থ্য ও সুযোগ আছে বলে অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়িয়েছি। অনেকে অর্থ, বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন বলে কাজটি সহজ হয়েছে।

সামাজিক বৃত্তে থেকে এমন মানবিক কাজ সবখানে ছড়িয়ে পড়ুক এমনটা প্রত্যাশা বার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।