ঢাকা: করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে চলছে ‘কঠোর লকডাউন’। লকডাউনের ১২তম দিনে রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেড়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১০, ১১, ১২ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এ সময় সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মিরপুর এলাকার মোড়ে মোড়ে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। এসব চেকপোস্টে যানবাহন দেখলেই গতিরোধ করে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কারণ ও প্রমাণ দিতে পারলেই যানবাহনগুলো ছাড়া হচ্ছে চেকপোস্ট থেকে। এছাড়াও যানবাহনের লাইসেন্স সঙ্গে না থাকলে করা হচ্ছে জরিমানা।
একটি প্রতিষ্ঠানের খাবার সরবরাহ করেন মো. রিয়াদ। ৪ মিনিটের মধ্যে তাকে খাবার পৌঁছে দিতে হবে বলে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে দ্রুত যাচ্ছিলেন কাজীপাড়া। ১০ নম্বর চত্বরের চেকপোস্টে তার গতিরোধ করা হয়। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ দেখতে চান তার ড্রাইভিং লাইসেন্স। লাইসেন্স সঙ্গে না থাকায় তাকে জরিমানা করা হয়।
রিয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি তাড়াহুড়ো করে খাবার নিয়ে যাচ্ছিলাম। সঙ্গে মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় ট্রাফিক পুলিশ আমাকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে কত অনুরোধ করলাম, পায়ে পর্যন্ত ধরলাম, কোনো কথাই শুনলেন না তিনি।
এ সময় অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, গরীব মানুষের সঙ্গে তারা কেন এমন করেন? এর চেয়ে ভালো আমাদের মেরে ফেলুক। ৪ হাজার টাকার জরিমানা তুলতে আমার দুই মাস লেগে যাবে।
অটোরিকশা চালক শরিফুল ইসলাম। তিনি অটোরিকশায় গ্যাস ভরতে মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে ১০ নম্বরে যাচ্ছিলেন। চেকপোস্টে তাকেও করা হয়েছে জরিমানা।
শরিফুল বলেন, আমি কোন প্যাসেঞ্জার নিয়ে যাচ্ছিলাম না। আমার খালি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে গ্যাস ভরতে যাচ্ছিলাম। চেকপোস্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ আমার গতিরোধ করে হাজার টাকার জরিমানা করেছেন।
দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকসহ অন্যান্য অফিস খুলেছে। এ কারণেই মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন বেশি। পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে লকডাউনের অন্য দিনগুলোর তুলনায়।
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০ নম্বর গোলচত্বর চেকপোস্টে মামলা হয়েছে ৭টি। জরিমানা করা হয়েছে ১৯ হাজার টাকা। মামলাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল লাইসেন্স সঙ্গে নিয়ে বের না হওয়ার কারণে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২১
এমএমআই/এমআরএ