সিরাজগঞ্জ: কঠোর লকডাউনের মধ্যে চলছিল বিয়ের আয়োজন। বরের জন্য তৈরি করা হয় মঞ্চ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন তিনি। এ সময় কনের বাবাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হরিনাথপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, হরিনাথপুরের আল আমিন মিয়ার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। বর পার্শ্ববর্তী ধুনট উপজেলার বাসিন্দা। দুপুরের দিকে বর আসার জন্য অপেক্ষা করেছিল কনে বাড়ির লোকজন। এ অবস্থায় টহলরত সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে উপস্থিত হন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী। এ সময় ইউএনওকে নানাভাবে মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে কনেপক্ষ। কিন্তু প্রস্তুতির ধরণ দেখে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ের দাদা ফজলুল হক স্বীকার করেন তার নাতনির বিয়ের আয়োজন চলছিলো। এরপর ইউএনও সেই বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন এবং কনেপক্ষকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, করোনাকালে জনসমাগম করা এবং বাল্যবিয়ে দুটোই দণ্ডনীয় অপরাধ। তাৎক্ষণিক কনেপক্ষকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে এবং বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২১
আরএ