ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় সুলতানা আক্তার কালন (১৬) ও অর্পনা রানী দাস (১৫) নামে দুই তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি তারা আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) দিনগত রাতে আজিমপুর খানটেক ও যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহত সুলতানা আক্তার কালন (১৬) সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার বালুঝুরি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের মেয়ে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট সুলতানা। সে পরিবারের সঙ্গে আজিমপুর খানটেক এলাকায় মোস্তফা হাজির টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
সুলতানার ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে কিছুদিন আগে পড়ালেখা বাদ দেয় সুলতানা। সে এক ধরনের রোগে আক্রান্ত ছিল। খুব রাগী স্বভাবের ছিল সে। গত রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। পরে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিতে বলে। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, নিহত অর্পনা রানী দাস (১৫) কিশোরগঞ্জ ইটনা উপজেলার ধনপুর গ্রামের মৃদুল চন্দ্র দাসের মেয়ে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে অর্পনা বড়। পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ি কাজলা নগর এলাকায় রাজ্জাক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো সে।
অর্পনার চাচা মিলন চন্দ্র দাস জানান, স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল অর্পনা। গত রাতে সে টিভি দেখছিল। তখন তার দাদা তাকে পড়তে বসতে বলে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে অর্পনা মন খারাপ করে তার রুমে চলে যায় এবং ছাড়পোকা মারার কীটনাশক পান করে। কিছুক্ষণ পর তাকে বমি করতে দেখে সন্দেহ হলে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, সোমবার দিনগত রাতে পৃথক স্থানে এই দুটি ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২১
এজেডএস/এমআরএ