রাঙামাটি: চলতি মাসের ৭ আগস্ট সারাদেশের মতো রাঙামাটির ৫০টি ইউনিয়নের ৪৯টি ইউনিয়নে গণটিকাদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলেও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নে টিকা দেওয়া হয়নি।
স্বাস্থ্যবিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অনুরোধে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়া হয়।
কাপ্তাই উপজেলার সেনাবাহিনীর হেলিপ্যাড থেকে বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যবিভাগের একটি টিম বড়থলি যায়।
বড়থলি ইউনিয়নে বেশির ভাগ তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর বসবাস।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা জানান, ফারুয়া ইউনিয়নে গণটিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হলেও দুর্গম হওয়ায় বড়থলি ইউনিয়নে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নের ছয়শ’ জনকে টিকা দেওয়া হয়। টিকাদান কার্যক্রমের পাশাপাশি বিলাইছড়ি স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে চিকিৎসাসেবা এবং ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বড়থলিতে যাওয়ার আগে বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান জানান, আগে বড়থলি ইউনিয়নের মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য ও ইউনিয়নের প্রকল্পগুলো পরিদর্শনের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের বিশেষ উদ্যোগে গণটিকাদান কার্যক্রম সফল করতে প্রথমবারের মতো এ ইউনিয়নে যেতে পারছি।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা জানিয়েছেন, দুর্গম হওয়ায় এখনো অনেক ইউনিয়নে গণটিকাদান সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি, তবে টিকাদান অব্যাহত রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বড়থলি ইউনিয়নের জন্য ছয়শ’ টিকা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দুর্গম পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় সেনাবাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম চার নম্বর বড়থলি ইউনিয়ন। বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে হেঁটে এ ইউনিয়নে যেতে কমপক্ষে চারদিন লাগে। আবার বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার বগালেক থেকে হেঁটে যেতে লাগে দু’দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২১
এসআই