গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া রেলওয়ের গোডাইন থেকে ৭ হাজার ৪শ পিস ফিসপ্লেটের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনা তদন্তে বগুড়ার বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
৫০ মেট্রিকটন ওজনের ওই ফিসপ্লেটগুলোর আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাতে বোনারপাড়া রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাপস চন্দ্র পণ্ডিত এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে স্টেশনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল ইসলাম গোডাউনের (স্টোর রুম) দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় বিষয়টি নজরে আসে। এসময় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
দাপস চন্দ্র পণ্ডিত জানান, স্টেশনে আইডব্লিউআই ও পিডব্লিউআই নামে দুটি গোডাউন রয়েছে। এর মধ্যে পিডব্লিউডিআই গোডাউনের দায়িত্বে থাকা সহকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপক কুমার সিংহ সম্প্রতি অবসরে যান। তখন থেকে গোডাউনটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। গত ২০ জুন গোডাউনের ভেতরে থাকা ফিসপ্লেটসহ অন্যান্য মালামাল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের পর আবারো গোডাউনটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মাজেদুল ইসলাম গোডাউনের দায়িত্ব বুঝে নিতে গিয়ে ফিসপ্লেট উধাও হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিক তদন্তে গোডাউন থেকে ৭ হাজার ৪শ পিস ফিসপ্লেট না পাওয়ার তথ্য জানা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ থাকা সত্বেও কীভাবে ফিসপ্লেট গায়েব হলো তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে ফিসপ্লেট উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ও আনছার সদস্যরা গোডাউনটি সার্বক্ষণিক পাহাড়া দেয়। তারপরেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো তা বোধগম্য নয়।
এদিকে, রহস্যজনকভাবে ফিসপ্লেট গায়েবের ঘটনাটি তদন্ত করতে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বগুড়ার বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
আরএ