ঢাকা: টানা ১৯ দিন বন্ধ থাকার পর রাজধানীর রাস্তায় নেমেছে গণপরিবহন। আগের ভাড়ায় (৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না) শতভাগ যাত্রী নিয়ে অর্ধেক পরিবহন চলছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর ফার্মগেট, আগারগাঁও, তালতলা শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও মিরপুর এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। যাত্রীর সংখ্যাও ছিল তুলনামূলক কম। এদিন গণপরিবহনে কিছু-কিছু বাসে যাত্রী দাঁড়িয়ে নিতেও দেখা যায়। বেশিরভাগ বাসের যাত্রীদের মুখে মাস্ক পরা থাকলেও, কিছু যাত্রীদের মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে রাখতে দেখা যায়। বাসে ওঠা বা নামার সময় কোনো প্রকার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে দেখা যায়নি।
বিকল্প বাসের যাত্রী বেসরকারি কর্মকর্তা মো. মোনায়েম বাংলানিউজকে বলেন, অনেক দিন পরে আজকে বাসে উঠলাম। লকডাউনের দিনগুলোতে বাইসাইকেলে করে যাতায়াত করেছি। আসলে পুরোপুরিভাবে স্বাস্থ্যবিধি গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না। এছাড়াও লেগুনা ও টেম্পুতে মানা হচ্ছে না কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি।
বিকল্প পরিবহনের বাসের স্টাফ মো. রাসেল বলেন, আমারা সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রাস্তায় বাস চালাচ্ছি। যাত্রীরা সবাই মাস্ক পরে বাসে উঠছেন। কিন্তু বেশি ভাগ যাত্রী হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে চাইছেন না। যদি পাঁচ জন যাত্রী বাসে ওঠে এর মধ্যে চার জনই স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে চাইছেন না।
বিকল্প পরিবহনের বাসচালক মো. সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাস্তায় বাস নিয়ে নেমেছি। যাত্রীরা মাস্ক পরে বাসে উঠছেন। তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। অনেক যাত্রী আবার দিতে চাচ্ছেন না হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সকালবেলা বাস নিয়ে রাস্তায় নামার সময় প্রত্যেকটি সিটে করা হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে।
সরকার নির্ধারিত নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না এবং দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না।
সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার জেলা পর্যায়ে জেলাপ্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
আগের ভাড়ায় (৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না) গণপরিবহন চলবে। অতিরিক্ত ভাড়া কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না।
গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, হেলপার-কাম ক্লিনার এবং টিকেট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
যাত্রার শুরু ও শেষে যানবাহন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়াও যানবাহনের মালিকদের যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরবর্তী সময়ে কোনো নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
এমএমআই/এসআইএস