ঢাকা, রবিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

খাদ্য নিরাপত্তায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২১
খাদ্য নিরাপত্তায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান

ঢাকা: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ খাতে তরুণদের স্বেচ্ছাশ্রমের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবেও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এমন মতামত দেন বক্তারা। ‘যুব নেতৃত্ব ও উদ্যোগের মাধ্যমে খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভলান্টিয়ার সার্ভিস ওভারসিস (ভিএসও) ইন বাংলাদেশ।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রহমান।  

তিনি বলেন, আমাদের দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী কৃষিখাতের সঙ্গে জড়িত। বঙ্গবন্ধুও বলেছিলেন যে, এ কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই পুরো দেশের মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব। আর বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। কৃষকের ফলানো খাদ্যশস্য দিয়ে মাঝে মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগীরাই এত বেশি দাম নিয়ে যায়, যা কৃষকরাও পায় না। এসব সমস্যা সমাধানে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

গোলাম রহমান বলেন, আমরা এখন ডেমোগ্রাফিফ ডিভিডেন্ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এর সুফল কিন্তু ২০৩০ এর পর হয়তো আর থাকবে না। করোনার কারণে দেশের তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ বেকারত্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাদের নিয়ে এখনই পরিকল্পনা করতে হবে।

ওয়েবিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফিল্ড সার্ভিস উইং-এর পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম বলেন, এখন যুগের চাহিদা হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন। সুপেয় পানি চাই আমরা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় পুরো বছর আমরা পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য চাই। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সঙ্গে আমরা কাজ করছি। আজ আমরা খাদ্য খাতে পৃথিবীতে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছি। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের জন্যই আমরা নিরাপদ খাদ্য, পুষ্টিকর খাদ্যের জোগান দিতে পারছি।

এদিকে ওয়েবিনারের আয়োজক ভিএসও’র পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে তুলনামূলকভাবে অনেক সফল হয়েছে। বর্তমান সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকারকে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায় হল বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার সম্ভাবনাময় ৪০ শতাংশ যুবদের সময় উপোযোগী ও সঠিক কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি করা। যুব জনগোষ্ঠীর সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুবদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার বিষযে প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে স্বল্প খরচে অধিক নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে পারে। যা যুবদের কৃষিতে আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করবে এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ধরিত্রীর স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

ভিএসও একটি আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা। ভিএসও বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুকিপুর্ণ এলাকায় ছয় হাজারের বেশি যুবদের মাধ্যমে জলবায়ুর পরিবর্তন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ করছে। এছাড়া জলবায়ু ঝুকিপূর্ণ এলাকায় গ্রিন টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।

আজকের ওয়েবিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফএও’র ঢাকা ফুড সিস্টেমের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা জন টেইলর, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. এম এইচ চৌধুরী  (লেনিন), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নাওমি, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ইঙ্কলুসিভ কমিউনিটিস অ্যান্ড আর্টস বিষয়ক পরিচালক ড. শাহনাজ করিম।  

ভিএসও বাংলাদেশের প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ক লিড খাবিরুল হক কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একাডেমি ফ্যাকাস্টি ও গবেষক তৌহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২১
এসএইচএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।