ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুষ্টিয়া চিনিকল: ডিজিএমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২১
কুষ্টিয়া চিনিকল: ডিজিএমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুষ্টিয়া: বন্ধ হয়ে যাওয়া কুষ্টিয়া সুগার মিলের গুদামে রক্ষিত ৫২ মেট্রিকটন চিনি চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উপ-ব্যবস্থাপকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়া।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহেরের আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

 

দুদক কুষ্টিয়ার কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ মিঠু জানান, এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে- কুষ্টিয়া সুগার মিলস লিমিটেডের জগতির উপ-ব্যবস্থাপক (ভাণ্ডার) মো. আল আমীন, গুদাম রক্ষক মো. ফরিদুল হক এবং শ্রমিক সর্দার মো. বশির উদ্দিনকে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ জুন, ২০২০ থেকে ১২ জুন, ২০২১ সময়কালের মধ্যে সর্বশেষ ইনভেন্টরি কার্যক্রম হয়। এসময়কালের মধ্যেই কুষ্টিয়া সুগার মিলে (২০১৯-২০) অর্থ বছরে উৎপাদিত ও গুদামজাত ১২১ মেট্রিকটন চিনির মধ্যে ৫২ মেট্রিকটন চিনি খোয়া যাওয়ার প্রাথমিক সত্যতা মিল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে গুদামে রক্ষিত মালামাল নিরীক্ষণ শেষে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রাথমিক তথ্যের সত্যতা পাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। গুদামে রক্ষিত সরকারি মালামাল চুরি যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগোচরে রেখে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। পরে পারিপার্শ্বিক চাপের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ নামকাওয়াস্তে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন কুষ্টিয়া মডেল থানায়। এই সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে দুদক প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা এবং জড়িত সন্দেহে সংশ্লিষ্ট বিভাগে দায়িত্বরত তিনজনকে শনাক্ত করেন।

দুদকের প্রথমিক তদন্তের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে- আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৫০ দশমিক ৭০০ মেট্রিকটন চিনি (যার বাজারদর আর্থিক মূল্য ৩৩ লাখ ২০ হাজার ১শ টাকা) গুদাম থেকে আত্মসাত করেন।  

জানা যায়, বার্ষিক উৎপাদনে কয়েক বছর ধরে লোকসানের মুখে পড়ায় গত আখ মাড়াই মৌসুমে সারাদেশে বন্ধ হওয়া ৯টি মিলের মধ্যে কুষ্টিয়া চিনিকলও রয়েছে। এই কারখানা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক কর্মচারী, আখচাষি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটি এখন কেবলই লুটপাটের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সরকার এর কোনো বিহিত ব্যবস্থা না করলে খুব শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।