চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে শাশুড়ির সহায়তায় পুত্রবধূকে টানা ৬ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ অভিযোগে ভুক্তভোগী গৃহবধূ শাশুড়ি ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আসামি করে রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার রবিউল রহনপুর পৌর এলাকার শেখপাড়া গ্রামের ইনুর ছেলে এবং রহনপুর পৌর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক।
মামলা সূত্রে ও ভুক্তভোগীর বক্তব্যে জানা যায়, ওই গৃহবধূর শাশুড়ি রেহেনার (৪০) সঙ্গে রবিউলের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সে সুবাদে রবিউল বাড়িতে আসা যাওয়া করত। এ কারণে রেহানার ছেলে হৃদয়ের স্ত্রীর সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
রেহেনার ছেলে হৃদয় বিয়ের কিছুদিন পরেই স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে কাজের জন্য চট্টগ্রাম চলে যান। এদিকে রবিউলের নজর পড়ে ওই গৃহবধূর ওপর। এক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করে শাশুড়ি রেহেনা। গত রোজার সময় খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে গৃহবধূকে অচেতন করে রবিউল একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি ভুক্তভোগী গৃহবধূ তার শাশুড়িকে জানিয়ে এ বিষয়ে প্রতিকার চান। একপযার্য়ে রবিউল তার শাশুড়ির সহযোগিতায় গৃহবধূকে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য হুমকি ধমকি দেন। গৃহবধূ তা না শুনে বিষয়টি তার স্বামীকে জানায়। তাতেও কোনো কাজ হয় না। ঘটনার বিচার না পেয়ে গত ১৬ মে ভুক্তভোগী গৃহবধূ স্বামীর উদ্দেশ্যে একটি চিরকুট লিখে রেখে বাবার বাড়ি চলে যান এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।
এদিকে দীর্ঘদিন বাবার বাড়িতে থাকার ফলে বাবা-মায়ের চাপে ঘটনাটি তাদের জানালে তারা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ রবিউল ইসলাম রবুকে আটক করে। এর আগে রোববার সকালে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ রবিউল ইসলাম রোবু ও শাশুড়ি রেহানাকে আসামি করে গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রেহেনা বেগমকে একাধিকবার তার মোবাইলে কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, ধর্ষণের দায়ে গৃহবধূ নিজে গোমস্তাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় রোববার সকালে মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার -১০।
তিনি আরো জানান, বাদীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে ডাক্তারি রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনাটি আরো পরিষ্কার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
আরএ