ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বিএলসি নবায়নে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
বিএলসি নবায়নে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ

সাতক্ষীরা: পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বিএলসি নবায়নে বনজীবীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

বনজীবীদের অভিযোগ, মাছ, কাঁকড়া, মধু ও গোলপাতা আহরণে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য এবং পর্যটকবাহী ট্রলারের বিএলসি নবায়নে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে ৬৫০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়া নির্ধারিত সময় পার হলেও বিএলসি নবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বনবিভাগ।

বনবিভাগ জানায়, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনের আওতায় দুই হাজার ৮০০ বিএলসি আছে। এর মধ্যে কৈখালী স্টেশনে ৫০০, কদমতলা স্টেশনে ৭০০, বুড়িগোয়ালীনি স্টেশনে ৮০০ ও কোবাদক স্টেশনের আওতায় আছে ৯০০ বিএলসি রয়েছে।

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ১০০ মণের নৌকার বিএলসির সরকারি রাজস্ব ২৪ টাকা। ৫০ মণের জন্য ১২ টাকা। আর ২৫ মণের নৌকার রাজস্ব ছয় টাকা।

তবে, বনজীবীদের কাছ থেকে বিএলসি নবয়ান করতে ৬৫০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা করে নিচ্ছেন দালালরা।

বনজীবীদের অভিযোগ, অসাধু বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা প্রকার চাপ প্রয়োগ এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে দালালদের মাধ্যমে ২৫ মণের নৌকার বিএলসি নবায়নে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন।

এছাড়া সুন্দরবন ভ্রমণের ট্রলারের বিএলসি নবায়নে ১২০০-১৮০০ টাকার পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে ৩৫০০ টাকা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বনজীবী জানান, তারা স্থানীয় দালালের মাধ্যমে ৭৫০ টাকা করে দিয়ে বিএলসি নবায়ন করেছেন। বনের পাস বন্ধ, কোনো আয় নেই। তারপরও তাদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিএলসি নবায়ন করতে হয়েছে।

তারা আরও জানান, দালালদের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিএলসি নবায়ন না করলে হুমকির মধ্যে থাকতে হয়। এ কথা কারো কাছে জানালে তাকে সুন্দরবনে বৈধ বা অবৈধ কোনোভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। তাছাড়া কেউ লাফালাফি করলে তার বিরুদ্ধে একাধিক বন মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে বিএলসি নবায়নে হয়রানির শিকার হতে হয়। নৌকা স্টেশনে এনে মাপ জরিপ করে মিলিয়ে বিএলসি দেওয়া হয়। কিন্তু দালালের মাধ্যমে করলে, টাকা যায় বেশি। কোনো ঝামেলা করে না।

এ প্রসঙ্গে বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ বলেন, সরকারি নিতিমালা অনুযায়ী বিএলসি নবায়ন শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন সুন্দরবনের পাস বন্ধ থাকায় জেলেরা বিএলসি নবায়নে উৎসাহ পাচ্ছেন না। চলতি মৌসুমে অল্প কিছু সংখ্যক বিএলসি নবায়ন হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বিএলসি নবায়নের সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া বিএলসি নবায়নে অতিরিক্ত কোনো অর্থ নেওয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।