ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
খুলনায় বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ

খুলনা: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

এদিন সকাল আটটায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে অবস্থিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান ও মো. আলমগীর কবীরের নেতৃত্বে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষে প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, জেলা পরিষদ, মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসে উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় শোক দিবসে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ সংখ্যা বা ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খুলনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষ থেকে অনলাইনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি (অনলাইনে) ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষ ও অনলাইনে যুক্ত হয়ে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। এছাড়া সভায় আরও যুক্ত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএম বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবীর, অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির প্রমুখ।

সভায় চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।     

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কালোব্যাজ ধারণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও শোক র‌্যালি। উপাচার্যের নেতৃত্বে শোক র‌্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, ডিনরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানরা, প্রভোস্টরা, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন শ্রদ্ধা জানান।  

জাতীয় শোক দিবসে দলীয় কার্যালয়ে এবং খুলনা বেতারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে খুলনা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনুরূপভাবে খুলনার সাংবাদিক ইউনিয়ন দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।

জাতীয় শোক দিবসে অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে যুবলীগের খুলনা মহানগর শাখার নেতারা। এ সময় মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনের পরিচালনায় অর্থ বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, নগর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হায়দার আলী, শহিদুল হক মিন্টু, মুন্সি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবির, মাহাবুব আলম সোহাগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মৃণাল কান্তি জোয়ার্দার, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।