ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

একই রশিতে দুই বন্ধুর মরদেহ: পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিত হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
একই রশিতে দুই বন্ধুর মরদেহ: পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিত হত্যা প্রেস ব্রিফিং

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালানোর অপচেষ্টায় একই রাশিতে দুইবন্ধুর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

রোবাবর (১৫ অগাস্ট) দুপুরে নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পিবিআই গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ এ তথ্য জানান।

ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, আত্মহত্যা নয়, পরকীয়ার জেরে দুই বন্ধু মৃণাল চন্দ্র দাস ও সুমন কান্তি দাসকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর তাদের মরদেহ গাইবান্ধা সদর উপজেলার মিয়ারবাজার এলাকার একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন গ্রেফতার প্রদীপ চন্দ্র। প্রদীপ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আরো জানান, গত ১২ আগস্ট সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পিয়ারাপুর গ্রামের একটি গাছে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃণাল ও সুমনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরপরই গ্রেফতার করা হয় তাদের বন্ধু প্রদীপকে। প্রদীপ পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। তিনি শনিবার (১৪ আগষ্ট) আদালতেও স্বীকারোক্তি দেন।

গ্রেফতার প্রদীপ পিবিআই ও আদালতের কাছে জবানবন্দিতে জানায়, সুমন কান্তি দাসের মায়ের সঙ্গে তার বন্ধু নিতাই চন্দ্র দাসের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে সুমন ও নিতাই দুই বন্ধুর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে এই বিরোধের জেরে নিতাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রদীপ চন্দ্র দাসের সহযোগিতায় সুমন কান্তি দাস ও মৃনাল কান্তি দাসকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তাই তারা মাদক সেবনের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১ আগস্ট রাতে নিতাইয়ের বাড়ি সংলগ্ন ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যায়।  

এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী নিতাই ও প্রদীপসহ আরও তিন-চারজনের সহযোগিতায় মৃনাল ও সুমনকে হত্যা করে। পরে এ হত্যা আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য একটি গাছে একই রশির দুই মাথায় মৃনাল ও সুমনকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। পরে নিতাই, প্রদীপ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, গত ১২ আগস্ট সকালে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃণাল ও সুমনের মরদেহ দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন দুপুর দুইটায় রংপুরস্থ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের কর্মকর্তারা মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী নিতাই ও তার সহযোগীরা সবাই পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

** একই রশিতে নিখোঁজ দুই বন্ধুর ঝুলন্ত মরদেহ

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।