ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ রাসেল সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
শেখ রাসেল সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস

কুষ্টিয়া: শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধসের ঘটনায় চরম ঝুঁকিতে পড়েছে স্কুল মাদরাসা, বসতভিটাসহ স্থানীয় জনপদ। মাত্র ৪ বছর আগে শতকোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নির্মিত ৫০৪ মিটার দৈর্ঘের শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সেতু।

রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে গড়াই নদীর বামতীরে সেতুটির ভাটিতে হঠাৎ করেই এ ধসের ঘটনায় প্রায় ১০০ মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধের ক্ষতি হয়। তবে এর সমাধানে কোনো দপ্তরের পক্ষ থেকে নেই কোনো উদ্যোগ। এজন্য চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকেই ত্রুটিপূর্ণ ডিজাইন এবং নির্মাণ ত্রুটির কারণে সেতুটির বিভিন্ন অংশে একাধিক স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার সমাধানে প্রয়োজনীয় কোনো উদ্যোগই নেয়নি সরকারের কোনো দপ্তর। অবিলম্বে তদন্ত করে প্রকৃত সমস্যার উদঘাটনসহ এর প্রয়োজনীয় সমাধান করে সেতুটিসহ স্থানীয় জনপদকে ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি এলাকাবাসীর।

ঘর ভেঙে যাওয়া সেলিনা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বছর একবার এই বাঁধ ভাইঙি যায়, সরকার ওই ভাঙা সারিইনি। ইবার আবার নতুন কইরি এমন ভাঙাই ভাইঙলি যে রাত্রি ঘুমাবো কোনে সেই চিন্তা কত্তিচি। ’

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল মণ্ডলের অভিযোগ, ‘এই কাম করার সুমায়ই আমরা বাঁধা দিছিলাম, ঠিকভাবে নিচি থিন যেম্বা কইরি করার কথা ছিলি সেই রকম না করায় এলাকার সব লোক ক্ষেপি গিছিল। কিন্তু ঠিকাদারের দালালরা আমারে পুলিশির ভয় দেখাই মুক বন্ধ কইরি দেয়। এখন দেকেন সেইতা প্রমাণ হয়ে গেলো। ’  

সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইডি কুষ্টিয়ারর নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মণ্ডল জানান, যথাযথ কারিগরি দক্ষতাসহ নদী শাসনের কাজ আমাদের নয়। সেকারণে সঠিকভাবে এই কাজটি করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ২০১৭ সালে সেতুটি উদ্বোধনের সময়ই পত্র পাঠানোসহ অনুরোধ করা হয়। অথচ বিষয়টি এখনও অমিমাংসিত থাকায় সেতুটি আজ চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রতিরক্ষার বাঁধটি সরকারের যে দপ্তরই করুক না কেন টাকার উৎস তো একই! তাহলে খামাখা নিজেরা দায় না নিয়ে দুই দপ্তরের মধ্যে এই অনাকাঙ্ক্ষিত রশি টানাটানি খুবই দুঃখজনক। যেহেতু এসব জরুরি আপৎকালীন কাজ করার মতো কোনা সক্ষমতা এলজিইডির নেই, সেকারণে কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে আমি আবারও চিঠি পাঠিয়েছি।

অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন জানান, ওই প্রকল্পটির অথরিটি এলজিইডি, ওটার কোন দায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নেবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।