ঢাকা, শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়: তৌফিক-ই-ইলাহী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
বঙ্গবন্ধুকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়: তৌফিক-ই-ইলাহী

ঢাকা: সেনা সদস্যরা পথভ্রষ্ট হয়ে নয়, বরং পরিকল্পিতভাবেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই- ইলাহী চৌধুরী।

জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ আগস্ট) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন ড. তৌফিক-ই- ইলাহী চৌধুরী।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রসঙ্গে তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, অনেকেই বলেন যে, পথভ্রষ্ট সেনা সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে কিন্তু বিষয়টি ঠিক নয়। তাকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে। আমরা তো শুনেছিলাম, তাকে ১৪ আগস্ট, পাকিস্তানের স্বাধীন দিবসে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। কারণ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, দেশের বাইরে ও ভেতর থেকে তারা স্বাধীনতার পর থেকেই চক্রান্ত শুরু করে।

স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কাজ শুরু করেন উল্লেখ করে তৌফিক-ই- ইলাহী বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে অর্থনীতিতে পাকিস্তানকেই ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় ছিল পাকিস্তানের অর্ধেক। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যায়। লক্ষণীয় দিক হচ্ছে, তাকে হত্যার পরের ১১ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় আবার পাকিস্তানের থেকে কম ছিল।

বর্তমানেও দেশে বিরোধী শক্তি সক্রিয় আছে উল্লেখ করে তৌফিক-ই- ইলাহী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে সেই শক্তি এখনও কাজ করে যাচ্ছে। আজকের যে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা সেটির সামনের পথ বন্ধুর। এরজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিষয়টি আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে।

আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট অর্থ্যাৎ মৃত্যুর মাত্র ৬ দিন আগে শেল কোম্পানির কাছ থেকে সাড়ে চার মিলিয়ন পাউন্ডে পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনেছিলেন। আজ যে গ্যাস আমরা পাচ্ছি তার বেশিরভাগ (৩৫ ভাগ) সেই গ্যাসক্ষেত্র থেকেই আসে। স্বাধীনতার পর ভঙ্গুর দেশে এমন সিদ্ধান্ত ছিল সত্যিই সাহসী ও সুদূরপ্রসারী। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আজকের যে উন্নয়ন তার ভীত ছিল এ সিদ্ধান্ত।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল যে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ থাকবে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকেই বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার নির্বাচনী ইশতেহার মাফিক ২০২১ সালে আজ দেশ শতভাগ বিদ্যুতের আওতায়। আজ দেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত। এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই। পেছন থেকে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান। এতে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ। সভায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।