ঢাকা: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
প্রতারক চক্রের গ্রেফতার সদস্যরা হলেন- শাহাদাত শিকদার, মো. জুয়েল হাওলাদার, হিমন আহমেদ, রুবেল আহমেদ ও অপু চন্দ্র দাস।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সোমবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা ও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ জানায়, গ্রেফতার হওয়া আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রি-একটিভেটেড ও বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্ট খোলা সিম সংগ্রহ করতো। এরপর তারা বিভিন্ন প্রতারক চক্রের কাছে তা উচ্চমূল্যে সরবরাহ করতো। ওইসব সিম মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ আসামিদের কাছে পাঠানো হতো। সেখান থেকে তারা কমিশনের একটি পরিমাণ রেখে পুনরায় প্রতারক চক্রের কাছে ফেরত পাঠাতো।
এ বিষয়ে জানা যায়, গ্রেফতার আসামিদের কাছে কোনো ব্যক্তি স্মার্টকার্ড নিয়ে সিম কিনতে গেলেও তারা কৌশলে ওই ব্যক্তির দু’টি সিম উত্তোলন করে নিতো। যার একটি তারা গ্রাহককে দিতো ও অন্যটি নিজেদের কাছে রেখে দিতো। এছাড়া চক্রের সদস্যরা তাদের কাছে থাকা ওই প্রি-একটিভেটেড সিম ও সিম ক্রয় করতে আসা গ্রাহকের এনআইডি ব্যবহার করে বিকাশ/রকেট অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিজেদের সংগ্রহে রাখতো। অনেক সময় সিম ক্রয় করতে আসা কোনো ব্যক্তির অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তার ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে সিম উত্তোলন করে রাখতো এ চক্রের সদস্যরা।
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ চক্রের আরও আসামি রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও জানায় সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
এসজেএ/এইচএমএস/আরবি