ঢাকা: কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিককে সাজা দেওয়া ও ‘নির্যাতনের’ ঘটনায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ (ডিসি) চার কর্মকর্তাকে শাস্তির সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তদন্ত ও শুনানি করে তৎকালীন ডিসি সুলতানা পারভীনকে লঘুদণ্ড হিসেবে দুই বছর বেতন বাড়ানো স্থগিত রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে নথি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনসহ কিছু প্রক্রিয়া শেষ হলেই শাস্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। রাষ্ট্রপতি চাইলে দণ্ড কমাতে বা অন্য কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন।
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে গত বছরের ১৩ মার্চ দিনগত রাতে স্থানীয় সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের দাবি, তৎকালীন জেলা প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় তাকে সাজা ও নির্যাতন করা হয়েছে।
দেশব্যাপী ওই ঘটনার ব্যাপক আলোচনার পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন এবং দুই সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এসএম রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।
ঘটনার পরপরই সুলতানা পারভীনকে জনপ্রশাসনে ন্যস্ত করা হলেও কোনো পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আরডিসি নাজিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। মূল পদ জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব থেকে পদাবনতি হলে তিনি সহকারী সচিব হবেন। রাহাতুল ইসলাম বর্তমানে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন। রিন্টু বিকাশ চাকমাও এখন কোনো দায়িত্বে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২১
এমআইএইচ/ওএইচ/