ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্মাণ শেষ হতে না হতেই ৭০ লাখ টাকার সড়কে ধস

সুমন কুমার রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২১
নির্মাণ শেষ হতে না হতেই ৭০ লাখ টাকার সড়কে ধস

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া থেকে কর্মকারপাড়া পর্যন্ত ৯৫০ মিটার নবনির্মিত পাকা সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ইতোমধ্যে সড়কের দু’পাশে ধস নেমেছে।

জানা যায়, বাসাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া থেকে কর্মকারপাড়া পর্যন্ত ৯৫০ মিটার সড়ক জনগুরুত্ব বিবেচনায় পাকাকরণের জন্য দরপত্রের আহ্বান করে। ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ পায় মেসার্স নাইস এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কের দু’পাশ ধসে পড়েছে। জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পুরো সড়কটিতেই ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে।

হালুয়াপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়া, আব্দুর রৌফ, জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকেই বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের দুই পাশে তিন ফুট প্রস্তের মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা করেনি। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অল্প পরিমাণে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করায় ইটের খোয়া দেখা যায়। কাজ করার সময় তারা অভিযোগ করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় তারা এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে নবনির্মিত সড়কটি এক মাসের মধ্যে ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।

মেসার্স নাইস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. নাইস বাংলানিউজকে জানান, নতুন মাটি ও বালুর ওপরে পিচ ঢালাই করা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে তাই সড়কটির কিছু অংশ ধসে গেছে। এ কারণে হয়তো স্থানীয়রা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভাঙা অংশ বর্ষার পরে ঠিক করে দেওয়া হবে এবং সড়কের দুইপাশে মাটিও দেওয়া হবে।

বাসাইল এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সড়কটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম চলে গেলে তারা সড়কটি পুনঃনির্মাণ করে দিবে। মাটির সমস্যার কারণেই সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে।

বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, বাসাইল উপজেলায় দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সড়কটির কাজ করা হয়েছে। তারপরও সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২১
এনটি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।