ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিসিসি কর্মচারীদের মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিসিসি কর্মচারীদের মানববন্ধন মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিসিসি কর্মচারীদের মানববন্ধন

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। তবে গ্রেফতার আতঙ্কে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অনেকে মানববন্ধনে উপস্থিত হননি।

কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- কর নির্ধারক বেলায়েন হাসান বাবলু, রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হাওলাদার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হাসবুল, সহকারী প্রকৌশলী মো. বাশার, ওমর ফারুক, কর্মকর্তা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক মো. মাসুদসহ সিটি করপোরেশেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বুধবার রাতের ঘটনা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়াল কালরাত্রির ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়। সেদিনও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। আর বুধবার রাতেও নিরস্ত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আবার সেই নিরস্ত্রধারীদেরই সন্ত্রাসী আর বিশেষ অস্ত্রধারী বলা হচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, আমাদের অনেক সহকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমাদের সিটি করপোরেশেনের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন মেয়র। আর সেই মেয়রসহ আমাদের বহু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে। তাদের নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতার কারণেই আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারছি না। আমাদের পরিবারও উদ্বিগ্ন হয়ে আছে আমাদের নিয়ে।

বক্তরা বলেন, আমাদের ওপর যারা শোকের মাসে বর্বরভাবে গুলি ছুড়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। একইসঙ্গে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। আমরা জনগণের সেবক, আন্দোলন সংগ্রাম বুঝিনা। কিন্তু এই সেবার কাজে যিনি নেতৃত্ব দেন তিনি যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তিনি যদি হয়রানির শিকার হন, তাহলে উন্নয়ন বা সেবা কোনো কাজই করা সম্ভব নয়। এছাড়া আমরা আতঙ্কের মধ্যে থেকে দায়িত্বপালন করতে পারছি না।  
মানববন্ধনে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বলেন, আমরা পরিচ্ছন্নতা কর্মী নোংরামি জানি, নোংরা-আবর্জনা কিভাবে ট্রাকে ভরে ভাগাড়ে ফেলতে হয় সেটাও আমাদের জানা আছে। এ সময় নোংরামি থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তারা।

গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে উপজেলা পরিষদ (থানা কাউন্সিল) কম্পাউন্ডে অবৈধ ব্যানার অপসারণ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের স্টাফদের বাকবিতণ্ডা হয়। যার সূত্র ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তাকর্মীরা কয়েকদফায় সিটি করপোরেশনের স্টাফ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা চালাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও ৬০২ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। যেখানে এ পর্যন্ত  ২১ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
এমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।