ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মৃত ব্যক্তিকে ২০ মাস পর জীবিত উদ্ধার!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
মৃত ব্যক্তিকে ২০ মাস পর জীবিত উদ্ধার! মৃত ব্যক্তিকে ২০ মাস পর জীবিত উদ্ধার!

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় অপহরণের পর হত্যা মামলার কথিত মৃত ওয়াসিম জাহান তৌহিদ (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে ২০ মাস পর জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে গাইবান্ধা পিবিআই নিজস্ব মিলনায়তনে জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এআরএম আলিফ এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ডোমেরহাট সূবর্ণদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে মোছা. জান্নাতি বেগমের সঙ্গে পাশ্ববর্তী নিজপাড়া গ্রামের ওয়াসিম জাহান তৌহিদের (২৮) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে জান্নাতি গর্ভবতী হলে স্থানীয়দের চাপে ২০১৮ সালের ২৭ মে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের পরে তৌহিদ দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে মেয়ে পক্ষ তা দিতে অস্বীকার করলে জান্নাতিকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন ওয়াসিম। এই ঘটনায় জান্নতি বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ পারিবারিক জজ আদালতে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ওয়াসিম ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর নিজে আত্মগোপন করেন।

এরপর তৌহিদের বড়ভাই মানজুমুল হুদা বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সুন্দরগঞ্জ আদালতে ওয়াসিমের স্ত্রী জান্নাতি ও তার পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওয়াসিমকে অপহরণ করে হত্যা ও গুমের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত অপহরণ করে হত্যা ও গুমের মামলার তদন্তভার পিবিআইকে হস্তান্তর করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পিবিআইয়ের একটি দল গাজীপুর জেলার মোগরখাল এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকার টিএনজেএড নামের একটি কারখানা থেকে কথিত মৃত তৌহিদকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গাইবান্ধা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুর রাজ্জাক অভিযানের নেতৃত্ব দেন। কথিত মৃত তৌহিদ দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করে আসছিলেন।
 
শনিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে তৌহিদকে আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।