ঢাকা: বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করার আরও একটি ষড়যন্ত্র ছিল ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। কেবল সেদিন নয়, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য তিনি ৮১ সালে দেশে ফেরার পর অন্তত একুশ বার আক্রমণ করা হয়।
শনিবার (২১ আগস্ট) ঢাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সিনিয়র সচিব আবদুস সামাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বস্ত্র ও পাট সচিব আবদুল মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্ম-সংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, ডিবি ঢাকা উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী ১৫ আগস্টকে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রেরই ফসল উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনার জন্য তাদের উদ্দেশ্য সফল সমাপ্তিতে পৌঁছায়নি। পঁচাত্তরের পর ছয় বছরের শরণার্থী জীবন শেষে ৮১ সালে দেশে ফেরার পর ১৫ বছর মরণপণ যুদ্ধ করে ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক সংগঠন পুনর্গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
এমআইএইচ/কেএআর