সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে ও কাজিপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দু’টি পয়েন্টেই বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি।
এদিকে যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি। কোথাও কোথাও নদী ভাঙনও দেখা দিয়েছে।
রোববার (২২ আগস্ট) সকালে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজিপুর, সদর ও চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর অভ্যন্তরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাচ্ছে গোচারণ ভূমি ও ফসলি জমি। পানিবন্দি হতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের মানুষ।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মাস্টার বলেন, অসময়ে চরাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে অনেক ফসল তলিয়ে গেছে।
অপরদিকে জেলার কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এরই মধ্যে এ দু’টি উপজেলার প্রায় ৫০টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের ডিক্রিদোরতা গ্রাম ও জিআরডিপির ৬ নম্বর নৌকাঘাট পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এলকাবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি ও নতুন স্থাপন করা বৈদ্যুক খুঁটি ও তার।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরও দুই-একদিন বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা রয়েছে, তাতে বিপৎসীমা অত্রিক্রম করবে। তবে বন্যার কোনো শঙ্কা নেই। বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যে দুই-একদিন পর পানি কমতে শুরু করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২১
এসআই