শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের পদ্মা নদীতে আশঙ্কাজনক হারে পানি বেড়েছে। এতে নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি ৪৭৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপরে।
এদিকে, পানি বাড়ার কারণে নড়িয়ার ঈশ্বরকাঠি, শেহের আলী মাদবরকান্দি ও চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি এলাকায় নদীর তীর উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। ফলে পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এ কারণে সেখানে কর্মরত তিন শতাধিক শ্রমিককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি বাড়ার কারণে ভাঙন ঠেকাতে পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশা নদীর ১০০ স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৩ আগস্ট পদ্মা নদীর পানি নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমা পার করে। এরপর থেকে প্রতিদিনই পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নড়িয়ার কিছু নিচু এলাকায় তীর উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পদ্মার পানি বাড়ায় নদীতে স্রোত বেড়েছে। স্রোতের কারণে জাজিরার পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ও কীর্তিনাশার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে জাজিরার ৩৭টি স্থানে, নড়িয়ার ১২টি স্থানে, ভেদরগঞ্জের ২২টি স্থানে, গোসাইরহাটের ১৪টি স্থানে ও সদর উপজেলার কীর্তিনাশা নদীর ১৫টি স্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। ওই স্থানগুলোয় জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলতে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এমএস আহসান হাবীব বলেন, পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে কিছু নিচু স্থান তলিয়ে গেছে। তবে এখনো লোকালয়ে পানি ঢোকেনি। নড়িয়া-জাজিরার পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের তিনটি ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। সেখান থেকে তিন শতাধিক শ্রমিককে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পানি নেমে গেলে ইয়ার্ড তিনটি ফের চালু করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
আরএ
