ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবর

পটুয়াখালী: নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আলতাফ মাহমুদের কবরটি।

বাংলাদেশ সাংবাদিক ফোরামের সাবেক নেতা, একজন দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযোদ্ধার কবরটি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রামনাবাদ নদীর ভাঙনে বিলীন হতে বসেছে।

নদী থেকে কবরের দূরত্ব এখন মাত্র ৫০ ফুট।

অতিদ্রুত নদী ভাঙন প্রতিরোধ বা কবরটি স্থানান্তর করা না হলে, আলতাফ মাহমুদের স্মৃতির শেষ স্থানটুকু নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তার সহকর্মী, এলাকাবাসী ও স্বজনরা।

এরই মধ্যে দুইবার বেড়ি বাঁধ ভেঙে গেছে। বর্তমানে তার কবরের পাশাপাশি গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ডাকুয়ার তিনটি গ্রাম আটখালী, ডাকুয়া ও হোগলবুনিয়ায়, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ প্রায় দুইশ’ কোটি টাকার সরকারি বেসরকারি স্থাপনা রয়েছে চরম ভাঙন ঝুঁকিতে।

এদিকে এখনও নদীর পাড় রক্ষা ও ভাঙন প্রতিরোধে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে।

স্থানীয়রা জানান, দ্রুত নদীর তীর রক্ষা ও ভাঙন প্রতিরোধ না করলে আলতাফ মাহমুদের কবর, ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, জৈনপুরি পীর সাহেবের খানকা, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, গলাচিপা-কলাগাছিয়া কার্পেটিং সংযোগ সড়কের একাংশ, গলাচিপা-চরচন্দ্রাইল সংযোগ সড়কের একাংশ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। পাঁচটি মসজিদ, দু’টি মন্দির, তেঁতুলতলা বাজার ও ২০০ বছরের পুরোনো জমিদার বাড়িসহ অসংখ্য বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

প্রয়াত সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের ভাগ্নে মঈনউদ্দিন বলেন, আমার মামা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন ও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি একজন দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যে কোনো সময় তার কবরটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আমরা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন মহলে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। আমরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আশা করি তিনি বিষয়টি জানলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।  

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) আশীষ কুমার বলেন, সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবর পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আমরা উপজেলা থেকেও যদি পারি, দেখি কোনো বরাদ্দ দিয়ে কবরটি সংরক্ষণ করা যায় কিনা।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম সালেহী বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে অতি ঝুঁকি পূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছি এবং মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। একটি টিম সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবরের স্থানসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছে। মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের নির্দেশনা পেলে দ্রুত কাজ শুরু করতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।