ঢাকা: ‘বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ব শান্তি’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ শান্তি পরিষদ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত। মুক্তিযুদ্ধ ছিল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শান্তিকামী মানুষের লড়াই আর বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই শান্তির লড়াইয়ের প্রধান নেতা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির মুক্তিযুদ্ধ শুধু স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের লড়াই ছিল না। এ লড়াই ছিল দখলদার পাকিস্তানী বাহিনী এবং তাদের আন্তর্জাতিক মোড়ল যুদ্ধবাজ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শান্তিকামী মানুষের লড়াই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সেই শান্তির লড়াইয়ের প্রধান নেতা। ফলে, বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ২৩ মে অত্যন্ত ন্যায্য কারণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি এবং স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবদান রাখার জন্য জুলিও কুরি শান্তি পদকের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করে। বঙ্গবন্ধুর এ জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি তাই গোটা বাঙালি জাতির জন্যও বিশ্ব দরবারে এক বিরাট সম্মানের বিষয়।
বক্তারা আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশকে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির দিকে ধাবিত করেন। সেই ধারা অনুসরণ করেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি এবং বিশ্ব শান্তির প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান খান, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, হাসানুল হক ইনু, অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর, ডা. শাহাদাত হোসেন, পার্থসারথী চক্রবর্তী, মমতাজ হোসেন, মো. শাহ আলম, নাজমুল হক প্রধান, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হারুনুর রশিদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ, ডা. দিবালোক সিংহ, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, রুহিন হোসেন প্রিন্স, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, মোস্তফা আলমগীর রতন, মাহবুবুল আলমসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২১
এসকে/এসআই