ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সড়ক তো নয়, যেন বাজার!

মিরাজ মাহবুব ইফতি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
সড়ক তো নয়, যেন বাজার! সড়কের দু’পাশ দখল করে বসছে দোকান। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে শাহ আলী মাজার গেট এলাকায় সড়কের দুই পাশ দখল করে বসছে বাজার। হরেক রকম দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই, চলছে মহামারির করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।

এখানে ক্রেতা-বিক্রেতারা মানচ্ছেন কোনো স্বাস্থ্যবিধি। সড়কের দুই পাশ দখল করে দোকান বসায় স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মিরপুর-১ নম্বর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর-১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে শাহ আলী মাজার গেট সংলগ্ন সড়কের দুই পাশ দখল করেছেন হকাররা। এতে সড়কটিতে পথচারী ও যানবাহনের চলাচল  সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। রাত ১০টা পর্যন্ত হকারদের হাঁকডাকে সড়কটি জমজমাট থাকে। এ সময় পথচারীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে প্রধান সড়কে নেমে পড়েন অনেক পথচারী । এতে সৃষ্টি হয় যানজট ও দুর্ঘটনা।

সন্তানদের নিয়ে  শাহ আলী মাজার গেট সড়কে হাঁটছিলেন আসমা আক্তার। মিরপুর ১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশায় পল্লবীতে যাবেন তিনি।  

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘মিরপুর মাজার রোড থেকে ১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ফুটপাত ও সড়কের দুই পাশ হকারদের দখলে। এখানে বাচ্চাদের নিয়ে হাঁটাচলা করা খুবই কষ্টকর। এত হকার রাস্তার ওপরে বসেছে, অথচ প্রশাসনের কেউ দেখছে না। লোকজন গাঁ ঘেষাঘেষি করে হাঁটছেন। ভিড়ের কারণে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ’

মাজার গেট সড়কের খেলনাবিক্রেতা রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিধিনিষেধের সময় সড়ক ফাঁকা ছিল। তখন হকাররা রাস্তায় বসেনি। বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর আস্তে-আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আমরাও পেটের দায়ে রাস্তায় দোকান নিয়ে বসেছি। আমাদের দোকান জমে ওঠে বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মাঝেমধ্যে পুলিশ অভিযান চালায়। তখন আমরা মালপত্রের গাড়ি নিয়ে অন্যত্র চলে যাই। পরে এসে আবার সড়কে বেচাকেনা শুরু করি। ’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুক্তবাংলা মার্কেটের সামনে এক জুতাবিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘ফুটপাতে দোকান করতে আমার এখানে কোনো টাকা দেওয়া লাগে না। অন্য দোকানিদের টাকা দিতে হয় কিনা আমি জানি না। ’
 
তিনি আরও বলেন, ‘মিরপুর-১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে মাজার রোড পর্যন্ত এখানে প্রায় ৪০০ দোকান আছে। এ এলাকায় মার্কেটের চেয়ে বেশি দোকান আছে ফুটপাতে। রাস্তার বেচাকেনা জমে উঠে বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। আমাদের অন্য কোথাও দোকান দেওয়ার সুযোগ থাকলে সেখানেই দিতাম। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্য রাস্তায় দোকান নিয়ে বসেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।