ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গল মাঝির ঘাট-শিমুলিয়ায় চলবে ফেরি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গল মাঝির ঘাট-শিমুলিয়ায় চলবে ফেরি

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরার মঙ্গল মাঝির ঘাটে ফেরিঘাট নির্মাণ করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ)।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) ফেরিঘাট থেকে মঙ্গল মাঝিরঘাট-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ।


 
বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতের মধ্যে ঘাট নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ঘাটে একটি রো-রো ফেরির পন্টুন বসানো হবে। পরে নৌপথ পরীক্ষা করার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে একটি ফেরি চালানো হবে।  

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্রোতের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত এই নৌপথে ফেরি ছাড়া হবে না। তবে জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গল মাঝির ঘাট এলাকায় নতুন করে একটি ফেরি ঘাট নির্মাণের কাজ ২০ আগস্ট থেকে শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। মঙ্গল মাঝির লঞ্চঘাট-শরীয়তপুর সড়কের মাথায় পদ্মানদীতে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে কিছু অংশ ভরাট করা হয়েছে। সেখানে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফুট প্রশস্ত ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। বালুভর্তি জিওব্যাগের ওপর বাঁশ, ইট ও বালু দিয়ে ঘাটটি নির্মাণ করা হয়েছে। ঘাট নির্মাণ করতে ৫০ লাখ টাকা হতে ৬০ লাখ টাকা খরচ হবে।

ঘাট নির্মাণের ঠিকাদার আব্দুস সামাদ হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ২০ আগস্ট থেকে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। বুধবার রাতের মধ্যে ঘাটের নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। শ্রমিকরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বৃষ্টি না হলে রাতের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব।

বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানির উচ্চতা বেড়েছে। যে কারণে স্রোত বেড়েছে। স্রোতে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় ১৮ আগস্ট বেলা আড়াইটা থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাট থেকে যানবাহনের যাত্রীদের লঞ্চে পারাপার করা হচ্ছে।  

সম্প্রতি পদ্মা নদীর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যৌথ সার্ভে সম্পন্ন করা হয়। সার্ভে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পদ্মায় স্রোত না কমা পর্যন্ত এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

জরুরি সেবা চালু করতে ১৯ আগস্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শরীয়তপুরের মঙ্গল মাঝির ঘাট পরিদর্শন করেন। পন্টুন বসানোর স্থান নির্বাচন করেন। ২০ আগস্ট থেকে ঘাট নির্মাণের কাজ  শুরু করা হয়। নারায়নগঞ্জ থেকে একটি রো রো ফেরির পন্টুন মঙ্গল মাঝির ঘাটে আনা হয়েছে। বুধবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে সেটি ঘাটে পৌঁচেছে।

মঙ্গল মাঝির ঘাট এলাকার নেছার মাদবর বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কারণ মঙ্গল মাঝির ঘাটে ফেরি ঘাট হচ্ছে। ফেরি ঘাট হওয়ার কারণে জাজিরা শরীয়তপুরের মানুষের নৌপথে সীমাহীন দুর্ভোগ লাঘব হবে।  

বিআইডব্লিউটিএ’র কারিগরি সহকারী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল বলেন, ৮ দিন ধরে মাদারীপুরের শিবচর বাংলাবাজার-মাওয়া শিমুলিয়া নৌপথ বন্ধ রয়েছে। মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গত ২০ আগস্ট থেকে মাঝিরঘাটে একটি ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। কাজটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার ঘাটটি চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে। সড়ক প্রশস্ত কম হওয়ায় ওই ঘাট দিয়ে এখন ছোট গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।