সিরাজগঞ্জ: দুইদিন স্থিতিশীল থাকার পর সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরে আবারও বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে, কাজিপুর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে যমুনায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। অপরদিকে, বেশকিছু স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৪১ মিটার। যা বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত (বিপৎসীমা ১৩.৩৫ মিটার)। অপরদিকে, কাজিপুর পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১৪ মিটার। যা বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচে (বিপৎসীমা ১৫.২৫ মিটার)।
এদিকে যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত দেড় সপ্তাহ ধরে ভাঙনে প্রায় অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি, শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অপরদিকে, যমুনায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে জেলার অন্তত পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, যমুনার পানি দুদিন স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত পানি বাড়বে। আজকের মধ্যেই বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে। তবে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২১
এনটি