ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মাহফুজ আনাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
মাহফুজ আনাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার দাবি

ঢাকা: হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার অভিযোগে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনামসহ সবাইকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সনাতনী ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে 'কতিপয় এনজিও এবং স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা সনাতনী পারিবারিক আইন পরিবর্তনের অপচেষ্টার প্রতিবাদে পারিবারিক আইনে পরিবর্তন নিষ্প্রয়োজন' শীর্ষক গোলটেবিল শীর্ষক আলোচনায় তারা এ দাবি জানান।

এতে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।

হিন্দু ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শঙ্কর চন্দ্র দাস বলেন, মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম, অ্যাঞ্জেলা গোমেজ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আমাদের ধর্ম পরিবর্তন করতে চায়। অথচ আমাদের আরো কত সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে তারা কথা বলে না। আমাদের ওপর এত দরদ থাকলে কখনো তো শত্রু সম্পত্তি আইন নিয়ে কথা বলেননি। অথচ একটা মীমাংসিত বিষয় আমাদের হাজার বছরের সনাতনি আইন সংস্কার করতে চান। এটা তো মীমাংসিত। এই আইনের কারণে তো আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের কারো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তাহলে হিন্দু আইন কেন আপনাদের মাথাব্যথার কারণ হলো?

তিনি বলেন, আপনারা তো হিন্দু ধর্মের কেউ নন। হিন্দু ধর্ম বোঝেনও না। আসলে মাহফুজ আনাম, আপনারা এ দেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। আপনারা আবার ১/১১-এর মতো চক্রান্তে মেতে উঠেছেন। আপনাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ দেশের দেড় কোটি হিন্দু জেগে উঠেছে। মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত বারবার চক্রান্তকারী মাহফুজ আনাম, তার স্ত্রী শাহীন আনাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেব আমরা।

অ্যাডভোকেট ডি এল রায় চৌধুরী বলেন, মাহফুজ আনাম, শাহীন আনাম ও মতিউর রহমানরা একসময় কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জড়িত ছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের আইন সংস্কারের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এখন তারা রংবাজি করছে। তাদের মায়াকান্না দেখে বলতে ইচ্ছা করে, ভাত দেওয়ার নাম নেই, কিল দেওয়ার ঘোসাই। এ কথা বললাম, কারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের আরো কত সমস্যা আছে, সেগুলো নিয়ে কখনোই কথা বলে না। অথচ তারা আসছে আমাদের আইন সংস্কার করতে।

তিনি বলেন, মাহফুজ আনামরা আমাদেরকে উসকিয়ে দিল। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব। তা না হলে দুদিন পর বলবে, হিন্দুদের লাশ শ্মশানে না নিয়ে গোরস্তানে নিলে ভালো হয়। না পুড়িয়ে মাটিচাপা দিলে ভালো। এসব চক্রান্তকারীদের বিদেশ থেকে নাম বিক্রি করে টাকা আনার পথ বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, তারা বলে বিদ্যমান আইনে হিন্দু মেয়েরা সম্পদ পায় না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আবার বলে, হিন্দু নারীরা তালাক চায়, বাস্তবতা হলো-কোনো হিন্দু নারী তালাক চায় না। সিঁদুরহীন, শাঁখাহীন অহিন্দুরাই তালাক চায়। মাহফুজ আনামরা দেখে দেখে তাদেরকেই দলে ভিড়িয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
ডিএন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।