যশোর: প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়ানোয় শার্শার কাশিয়াডাঙ্গায় ইস্রাফিল হোসেন (৩৭) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৭ আগস্ট বাড়ি থেকে ডেকে এনে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
পরে তার মৃতদেহ স্থানীয় একটি কবরস্থানে পুঁতে রাখে খুনিরা। পুলিশ ঘটনার সাতদিন পর তিনজনকে আটক করার পাশাপাশি মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এ তথ্য জানান ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-ডিএসবি) জাহাঙ্গীর আলম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে বিড়ি শ্রমিক ইস্রাফিল হোসেন নিখোঁজ হন। পরে ২৯ আগস্ট তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়। যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে একই গ্রামের নুর আলম, মোশারফ হোসেন ও মর্জিনা বেগমকে আটক করেন। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুঁতে রাখা মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, আটক মর্জিনার এক ভাই বিদেশে থাকেন। তার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইস্রাফিল। এজন্য তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মর্জিনা। হত্যার জন্য মর্জিনা মোশারফের সঙ্গে দেড় লাখ টাকার চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী ইস্রাফিলকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে এনে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাকে মাদক সেবন করিয়ে অজ্ঞান করা হয়। হত্যা মিশনে অংশ নেন নুর আলম ও মেহেদী নামে এক যুবক। মেহেদী ওই গ্রামে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করেন। তবে তাকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, এই হত্যার ঘটনায় শার্শা থানায় একটি মামলা করেছেন নিহত ইস্রাফিলের স্ত্রী রোজিনা বেগম। মামলায় আটক তিনজন ছাড়াও আরও তিনজন ও অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
ইউজি/এমজেএফ