কুমিল্লা: কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের দাপ্তরিক সকল কাজ করছেন ওই অফিসে কর্মরত অফিস সহায়ক মো. ইউনুছ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লোকবল সংকটের কারণে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নির্বাচন অফিসে গিয়ে নিজ কাজ শেষ করতে না পেরে ক্ষোভ নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ নির্বাচন কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বদলি হয়ে অন্যত্র যাওয়ার পর বুড়িচং উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আলিফ লায়লা মার্চের ৯ তারিখ পর্যন্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। আজহারুল ইসলাম চলে যাওয়ার পর থেকেই নির্বাচন অফিস থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছিলেন না ব্রাহ্মণপাড়ার জনগণ। মার্চের ১৭ তারিখ অতিরিক্ত দায়িত্বে আসেন বুড়িচংয়ে যোগদানকারী নতুন নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহাম্মদ। তিনি প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বুধবার ব্রাহ্মণপাড়ায় অফিস করেন। ব্রাহ্মণপাড়া অফিস সহকারী এনামুল হক এক মাস আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাই অফিসের দাপ্তরিক কাজ করার জন্য অফিস সহায়ক ইউনুছ ছাড়া আর কেউ নেই। অফিসে দুইজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো. কবির হোসেন। তারা তাদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
মাধবপুর ইউনিয়নের রানীগাছ এলাকার মো. জব্বার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ নিয়ে পাঁচ দিন আমি ফিরে গেছি। আমার ভোটার আইডি সংশোধন করতে এসেছিলাম, এখনো করতে পারিনি।
নগরপাড় গ্রামের রহিমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ের নতুন ভোটার করতে কয়েক দিন এসেছি, কেউ আমাকে সাহায্য করছে না। আমার মতো এরকম অনেকেই এসে ফিরে যেতে দেখেছি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বে নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বুলবুল আহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, সার্বক্ষণিক একজন নির্বাচন কর্মকর্তা হলে অবশ্যই ভালো হতো। তারপরও আমি যতটুকু পারছি আমার সাধ্যমতো সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, ইতোমধ্যে কুমিল্লা জেলায় দুইজন নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে আমরা আশা করছি ব্রাহ্মণপাড়ায় নতুন নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে পারবো। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খান মহোদয়ের সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
এনটি