ঢাকা: দেশে চলতি বর্ষা মৌসুমে আকস্মিক বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়ের ঘটনা প্রায় ঘটছে। আবার ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় এই সময় কম-বেশি ভূমিধস হচ্ছে।
প্রশিক্ষণার্থীরা দেশের দুর্যোগে জরুরি উদ্ধার কাজে জনগণকে সহযোগিতা করবেন এবং আহত জনগোষ্ঠীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেবেন।
কক্সবাজারের ইনানীর অর্কিড ব্লু হোটেলে বৃহস্পতিবার ২০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের অংশগ্রহণে শেষ হয় এই প্রশিক্ষণ। এই ব্যাচে ১১ জন পুরুষ ও ৯ জন ছিলেন নারী। ‘দুর্যোগে সাড়াদান ও জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম’ শিরোনামে গত ২৯ আগস্ট থেকে পাঁচদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
ব্র্যাকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমিধস, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, জরুরি অনুসান্ধান ও উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসায় করণীয় নিয়ে ছিল মূল প্রশিক্ষণের আয়োজন। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতাধীন দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সেক্টর এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে ছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
এই প্রশিক্ষণের তৃতীয় দিন উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক। তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে এখন পর্যন্ত ব্র্যাক কক্সবাজার জেলায় ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতির আওতায় ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ১২০ জনকে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, দেশে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতির আওতায় স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা ৭৬ হাজার।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এর পক্ষ থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) আব্দুল মোমেন, প্রশিক্ষক শামস আরমান, উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুললাহ ও সহকারী প্রশিক্ষক শাহ ইমরান।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার উপ-পরিচালক মো. রুহুল আমিন।
অনুষ্ঠানে ব্র্যাক কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচির লিড আব্দুললাহ আল রায়হান, সেক্টর স্পেশালিস্ট শুভ কুমার সাহা ও সহকারী প্রকল্প অফিসার মতিয়ার রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২১
এমআইএইচ/এসআইএস