পাথরঘাটা, (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটার রূহিতা গ্রামের ১৩ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের পর ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় পাথরঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত খলিল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের রূহিতা গ্রামের ছালাম ওরফে মিষ্টি ছালাম।
ওই শিশুর মা বলেন, গত কয়েকদিনে আমার মেয়েটির শরীরের পরিবর্তন দেখে তার কাছে এ অবস্থার কথা জানতে চাই। তখন এ অবস্থার কথা সব জানায় এবং মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি। তবে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় খলিল দায়ী বলে আমার মেয়ে জানায়। পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দা ও সুশীলন নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার লোকজনের পরামর্শে ডাক্তার দেখাই এ সময় জানতে পারি আমার মেয়ে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শিশুর মা আরও বলেন, সম্ভাব্য চলতি বছরের ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘরের পাশে একটি ছাগল শব্দ করলে ঘর থেকে নামে ১৩ বছরের ওই মেয়েটি। এ সময় ওই মেয়েটিকে জোর করে মুখ বেঁধে ঘরের পাশে একটি পরিত্যক্ত (শুকনো) ডোবায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই ডোবায় নিয়ে খলিল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে শুঁটকি ব্যবসায়ী খলিল ওই শিশুকে শাসিয়ে বলে এ কথা যদি কাউকে বলো তবে তোকে ও তোর মাকে খুন করে ফেলবো।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের পাথরঘাটা উপজেলা ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুনিরা ইয়াসমিন খুশি বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমরা মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। এ সময় মেয়ের পরিবারের এক সদস্যকে নিয়ে আলট্রাসনো করিয়েছেন। ওই আলট্রাসনো রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, মেয়েটি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ১২ ডিসেম্বর।
অভিযোগ প্রসঙ্গে খলিলের মোবাইলে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
এএটি