ঢাকা: অনুমোদন না থাকায় স্থানান্তরের (মাইগ্রেশন) দাবিসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছেন রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানায়।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- প্রথমবর্ষ থেকে পঞ্চমবর্ষ পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ সরকারি হস্তক্ষেপে অনতিবিলম্বে অন্যান্য বেসরকারিমেডিক্যাল কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করা এবং মেডিক্যালে ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের যে কাগজপত্রগুলো কলেজে দেওয়া আছে, সেগুলাতে বিনাশর্তে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, নর্দান মেডিক্যাল ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ডেন্টাল অ্যান্ড মেডিক্যাল কাউন্সিলের অনুমোদন হারায়। তবু প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করেছে। কিন্তু এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা এখন তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
নর্দান মেডিকেলের পঞ্চম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী সাইরা জাহান বলেন, প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষা জীবন শেষ করা নিয়ে শঙ্কিত। নর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়েছে। এখানে ৩২ জন নেপালি শিক্ষার্থীও আছে। তারাও বিপাকে পড়েছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের রাতের বেলায় হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আরেক শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মেডিক্যাল কলেজ তিন বছরের মাথায় নানা অনিয়মের কারণে ২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৬ সালে আবার চালু হয়। তারপরও অনিয়ম থেমে নেই।
শিক্ষার্থীরা জানান, নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ চলে ভাড়া করা রোগী ও ভাড়া করা শিক্ষক দিয়ে। এ কলেজ হাসপাতালটি বন্ধ আছে প্রায় দেড় বছর ধরে। যখন হাসপাতাল চালু ছিল, তখন সব আসন প্রায় শূন্য ছিল। কলেজ ভিজিটের সময় ভাড়া করে রোগী আনা হতো। হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ, সিসিইউ, এনআইসিইউ নেই। ক্লিনিকাল বিষয়ে কোন স্থায়ী বিভাগীয় প্রধান, সিএ রেজিস্টার নেই। এমনকি নিজস্ব কোনো পরীক্ষার কেন্দ্র নেই।
বাংলাদেশ সময় ১৪৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
ডিএন/এনএইচআর