ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

টিকা বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মোমেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
টিকা বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: মোমেন

ঢাকা: অতিমারি থেকে সফল পুনরুদ্ধারের জন্য অবশ্যই বৈশ্বিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে টিকার জাতীয়করণ দুর্ভাগ্যজনক।

বিশ্বকে এ ধরনের টিকা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত শান্তির সংস্কৃতি বিষয়ক জাতিসংঘের উচ্চতর ফোরামের বক্তব্যে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।  

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জনের বিষয়টি আরও এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতি যে রূপান্তরধর্মী ভূমিকা পালন করতে পারে তা তুলে ধরা হয় উচ্চ পর্যায়ের এই ফোরামে। দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে উদ্বোধনী পর্ব ছাড়াও একটি প্লেনারি সেশন এবং ভার্চ্যুয়াল প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি উপস্থাপন, ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর সর্বসম্মতিক্রমে তা রেজুলেশন হিসেবে গৃহীত হওয়া এবং ২০১২ সাল থেকে উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আয়োজন করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। উদ্বোধনী পর্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি, ইউএন অ্যালায়েন্স ফর সিভিলাইজেশনের উচ্চ প্রতিনিধি, জাতিসংঘ মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট এবং ইউনেসকোর প্রতিনিধি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড অতিমারি থেকে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার অপরিহার্য উপাদান হিসেবে অবশ্যই এমন একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে জাতি, গোত্র, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই অর্থবহভাবে অবদান রাখতে পারি। পূর্বের থেকেও ভালো অবস্থায় ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে শান্তির সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করার কোনো বিকল্প নেই।  

কোভিড থেকে স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারে শান্তির পরিবেশ বিনির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় ‘শান্তির সংস্কৃতিকে’ মুলভাগে স্থাপন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া শান্তি ও উন্নয়নের পারস্পরিক গভীর আন্ত:সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে যথাসময়ে এজেন্ডা ২০৩০ এর বাস্তবায়নের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতিমারি থেকে সফল পুনরুদ্ধারের জন্য অবশ্যই বৈশ্বিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তিনি টিকার জাতীয়করণকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন। বিশ্বকে এ ধরনের টিকা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে উন্নয়ন অংশীদারদের আরও বেশি মানবিক হওয়ার এবং যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন বৈষম্যহীনভাবে তাদের তা প্রদান করার। ভ্যাকসিন হওয়া উচিত বৈশ্বিক সাধারণ সম্পদ।

এদিকে 'শান্তির সংস্কৃতিতে সিভিল সোসাইটি সংস্থার অংশগ্রহণ' বিষয়ক একটি ভার্চ্যুয়াল প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
টিআর/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।